সত্য প্রকাশের নির্ভীক ঠিকানা “দৈনিক কলম কথা” বিশ্বজুড়ে সংবাদ মাধ্যমের আলোচিত ইস্যু। ছয় বছর ধরে বিশ্বব্যাপী মিডিয়া জগতের সকল অনলাইন প্লাটফর্মে কার্যক্রম চলছে।

পৃথিবীজুড়ে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে প্রিন্ট মিডিয়ার বড় একটা অংশ, তারা এখন অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে নতুন করে টিকে থাকার স্বপ্ন দেখছে এবং অবিরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

১৭ মার্চ,২০১৭ সাল।
১৭ মার্চ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শুভ জন্মদিন এবং জাতীয় শিশু দিবস। এমন একটি বিশেষ দিনে “কলম কথা” নামের ভাবনার বহিঃপ্রকাশ হয়। বর্তমানে জনপ্রিয় অনলাইন পত্রিকা “দৈনিক কলম কথা”(dailykolomkotha.com)।

যাদের কথা না বললেই নয়! বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের স্বনামধন্য মিডিয়ায় কর্মরত সহযোদ্ধারা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিসহ তরুণ অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা সবসময়। আপনাদের অবদান অনস্বীকার্য।

বাংলাদেশে এমন তারুণ্যনির্ভর সংবাদ মাধ্যমের দেখা মেলে না। যেহেতু অনলাইন গণমাধ্যম তাই প্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ সংবাদকর্মীর সম্মিলন ঘটানো ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। দৈনিক কলম কথা” শুরুতেই সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছিল। ছয় বছর বয়সেই পাঠকের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছে। এত প্রতিযোগীদের ভীড়ে আমাদের পাঠকের বিশ্বাসযোগ্যতা, আস্থার ঠিকানা হয়ে ওঠাই আমাদের সংবাদ মাধ্যমের একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

শুরু থেকে আজ অবধি আমাদের নিরন্তর চেষ্টা চলছে পাঠকের প্রিয় প্রতিষ্ঠান হয়ে ওঠার। আমাদের প্রত্যেক কর্মীই সর্বোচ্চ অবস্থান থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

প্রতিষ্ঠার ৬ বছরে ‘দৈনিক কলম কথা’ খুব বেশি কিছু করেছে এমন দাবি করবো না। তবে, চেষ্টার কমতি ছিল না। পাঠককে বস্তুনিষ্ঠ খবর পৌঁছে দেওয়া এবং সত্য প্রকাশের নির্ভীক ঠিকানা হিসেবে “দৈনিক কলম কথা” প্রতিষ্ঠা করা, পাঠকের প্রিয় গণমাধ্যম হিসেবে পরিগণিত করার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।

অনলাইন গণমাধ্যম যেকোনো মিডিয়ার চেয়ে খুব বেশি স্বচ্ছ। কারণ, এখানে পাঠক তার মতামত সরাসরি ব্যক্ত করার সুযোগ পান। অনলাইন মাধ্যমে বেশ কয়েকটি উপায়ে পাঠক তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পারেন। তাই আমাদের প্রতিটি কদম ফেলতে হয় খুব সাবধানে। আমরা প্রতিনিয়ত পাঠকের পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া যথাযথ গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করে থাকি।

বাংলাদেশে অনলাইন প্লাটফর্মের সবত্রজুড়ে কার্যক্রম এখনো সেই অর্থে শুরুই হয়নি। দু-চারটি প্রতিষ্ঠান বড় পরিসরে কাজ শুরু করলেও অধিকাংশই এখনো জোড়াতালি দিয়ে চলছে। এটি আসলেই কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা।

আপনারা জানেন যে, কলম কথা লিমিটেডের প্রতিষ্ঠান(গভ: রেজি: নং: কেএইসসি-২০২১/২০৭৭) এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের আবেদন স্মারক নম্বর প্রাপ্ত ‘কলম কথা’ অগ্রযাত্রায় সংযুক্ত হয়েছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ অনলাইন প্লাটফর্ম গুগল, প্লে স্টোর ও অ্যাপস্ স্টোর,ফেসবুক,ইনস্ট্রাগ্রাম,টুইটার,ইউটিউব,ম্যাগাজিন,কলম কথা ফাউন্ডেশন, কলম কথা হেলথ্ কেয়ার সহ মানবসেবামূলক বিভিন্ন কার্যক্রমে। কলম কথা শুধু সংবাদ মাধ্যম নয়, একটি মানবসেবামূলক প্রতিষ্ঠান। অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে তথ্যের অবাধ প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয়ে যাবে শিগগিরই। এসব উদ্ভাবনের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই সংবাদ মাধ্যমের এগিয়ে যেতে হবে। কলম কথা’ এসব বিষয় মাথায় রেখে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সাজাচ্ছে।

পৃথিবীজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীর নির্ভরযোগ্য সংবাদ মাধ্যম হতে চায় “কলম কথা। নিত্য নতুন উদ্ভাবিত প্রযুক্তি সাথে নিয়ে পাঠকের আস্থার ঠিকানা হবে দৈনিক কলম কথা।

পাঠককে ভিন্নধারার রিপোর্টিং উপহার দিতে কাজ করছে আমাদের বার্তা বিভাগের টিম। পাঠকের পছন্দ মাথায় রেখে কনটেন্ট প্ল্যানিং করাই এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আমরা প্রতিনিয়ত এই কাজ যত্নের সঙ্গে করে থাকি।

প্রিয় পাঠক, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা আজ বিশ্ব দরবারে আলোচিত এক নাম। দুর্নীতি, দুঃশাসন সব বাধা অতিক্রম করে আজ আমাদের নিজেদের গর্ব করার মতো অনেককিছুই আছে। স্বপ্নের পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র সবকিছুই আজ বাস্তবতা। আমরা নতুন দিনের সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখি। আমরা দেশকে নিয়ে যেতে চাই অনন্য উচ্চতায়। দেশের সব ভালো-মন্দের সঙ্গী হতে চায় দৈনিক কলম কথা।

দুর্নীতি বিরোধী রিপোর্টিংয়ে আমরা আরও বেশি গুরুত্ব দেব সামনের দিনগুলোয়। আমাদের প্রয়োজন আপনাদের সমর্থন। কলম কথা’র সঙ্গে থাকবেন। আমাদের উৎসাহ দেবেন। আমরা আপনাদের বঞ্চিত করবো না। শতভাগ চাহিদা পূরণ করতে না পারলেও হতাশ হবেন না।

সুমন চক্রবর্তী
প্রকাশক ও সম্পাদক, দৈনিক কলম কথা